দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  এবারের ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় অধিকসংখ্যক মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন। অনেকে বাসের অপেক্ষায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকছেন।

কিছু বাস মহাসড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠাচ্ছেন। এতে গাড়ির গতি ধীর হচ্ছে। তবে ঘরমুখো মানুষেরা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা সড়কে থাকবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহা পরিচালক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ-পুলিশ, রেল পুলিশ, জেলা পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী একসঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে কাজ করছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম পৌঁছে যাচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পুরো সড়ক জুড়ে পুলিশের সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়া গরুর হাটের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কাজ করছে। যদি কোথাও কোনো সমস্যা হয় আমাদের জানালে আমাদের টিম দ্রুত সময়ে পৌঁছে যাবে।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সময়ে কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে কোনো ট্রাককে মহাসড়কের ওপর দাঁড় করানো যাবে না। সুবিধাজনক স্থানে দাঁড় করিয়ে যাচাই করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এই সময়ে বড় ধরনের টাকা-পয়সা লেনদেনের সময় আমাদের জানালে আমরা সহযোগিতা করব। ঈদের ছুটিতে অনেক বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাবেন সেখানেও টুরিস্ট পুলিশ আছে। যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য তারা প্রস্তুত আছে। কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি পুলিশ সদস্য মানুষকে সেবা দিয়ে উৎসব পালন করেন। তাই আমাদের উৎসব হচ্ছে দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পেরে।

তিনি ট্রাকে করে ঘরে ফেরা মানুষের বিষয়ে বলেন, অনেকেই বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে ঘরে ফিরছেন। তাদের সতর্ক হয়ে নিরাপদে ঘরে ফেরার আহ্বান জানাই। অনেকেই অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই যাত্রা করছেন। তারা যেন সতর্ক থাকেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ জিরো টলারেন্স হিসেবে কাজ করি। যেসব পুলিশ সদস্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। যেসব পুলিশ সদস্যরা ট্রাক থামিয়ে চাঁদা নিয়েছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।