দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়ায় অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ময়মনসিংহের আইনজীবী এম. আহসান উদ্দিন।  

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে আহমেদ তুহিনের পক্ষে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয়।

নগরীর বলাশপুর এলাকার বাসিন্দা সাকিব আহমেদ তুহিনের পক্ষে তিনি এই লিগ্যাল নোটিশ দেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এম. আহসান উদ্দিন। অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার লাউটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসাইন ও আমেনা আক্তার দম্পতির ছেলে। তবে নোটিশে শিমুল শর্মার পারিবারিক পরিচয় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে আইনজীবী বলেছেন, কোকাকোলার বিতর্কিত বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মানবতা বিরোধীদের পক্ষাবলম্বন করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের আইন শৃংখলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আগামী সাত (৭) দিনের মধ্যে অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মাকে সংবাদ সম্মেলন করে এই বিষয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্য দিতে হবে। অন্যথায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তাও জানাতে বলা হয়েছে।

নোটিশ দাতা বলেন, শান্তিকামী ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের ওপর ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে গত ৬ মে সারা দেশে একযোগে ফিলিস্তানের পক্ষে পতাকা উত্তোলন করে সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এ কারণে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ ফিলিস্তিনের পক্ষে সহমর্মী হয়ে ইসরায়েলের সমর্থন পুষ্ট ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোমল পানীয় কোকাকোলা পণ্য বয়কট করেছে। এতে কোকাকোলা বিক্রি তলানিতে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে কোকাকোলার ৬০ সেকেন্ডের একটি প্রমোশনাল ভিডিও তৈরি করে স্যোস্যাল মিডিয়াসহ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়। ওই বিজ্ঞাপনে শেষ সংলাপ ছিল- ‘একটা চুমুক দেন, তারপর সার্চ দেন’। অর্থাৎ গুজবে কান না দিয়ে দেখুন কোকাকোলা কোন দেশের প্রতিষ্ঠান। অথচ বাজার গবেষক নাদিয়া তাবাসসুম আল জাজিরাকে বলেছেন- গাজায় কোকাকোলার কারখানার বিষয়টি বিজ্ঞাপনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। এর মাধ‍্যমে ফিলিস্তিনের মানুষকে অপমান করা হয়েছে। এমন দাবি নোটিশ দাতার।