ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন দুর্ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
সোমবার (১৭ জুন) শিয়ালদহের দিকে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন। একটি মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছন দিকের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন (এনজেপি) থেকে শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি রাঙাপানি স্টেশনের কাছে এলে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। এ সময় ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়, দুমড়ে মুচড়ে উল্টে যায় একটি। আরেকটি বগি উঠে যায় ইঞ্জিনের ওপরে।
দুর্ঘটনার পর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কর্তৃপক্ষ। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার কারণেই একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে আসায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
এ ঘটনার পর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় এইমাত্র একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে মর্মাহত হয়েছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডিএম, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ও বিপর্যয় দলগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার, পুনরুদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবও এ দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক্স পোস্ট তিনি জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে তিনি ফাঁসিদেওয়ায় দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। তিনি দার্জিলিঙের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে আহতদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। যে বগিটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে সেটি থেকে এখনও কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। বগির ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল; গ্যাসকাটার দিয়ে বগি না কাটলে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন রেল কর্মীরা।
দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য অনেক পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ব্যবহার করেন। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে অনেকে স্বস্তির জন্য দার্জিলিঙয়ের পাহাড়ি এলাকা ভ্রমণ করছেন। এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনাটি ঘটল।