কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনার কোপা অভিযান শুরু
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রথমার্ধে দুই দল লড়লো সমানে সমান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের বেশির ভাগ জুড়েই থাকলো আর্জেন্টিনা, তারা গোলও পেলো।
কিন্তু তবুও নিশ্চিতভাবেই তাদের সঙ্গী হয়েছে হতাশা। সহজ সুযোগ পেয়ে মিস করেছেন লিওনেল মেসিসহ কয়েকজন।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণে ব্যস্ত হয়ে উঠে আর্জেন্টিনা। পাঁচ মিনিটের মাথায় লিয়ান্দ্রো পারেদেসের গোলমুখে নেওয়া শট ছিল বেশি উঁচু। তবে নবম মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পান আনহেল দি মারিয়া। অভিজ্ঞ এই ফুটবলার অনেকটা একাই পেয়ে গিয়েছিলেন গোলরক্ষককে। কিন্তু তার নেওয়া শট থামিয়ে দেন কানাডার গোলরক্ষক।
এরপর ১৫তম মিনিটে মেসির নেওয়া শটও আটকে দেন কানাডার এক ডিফেন্ডার। ধীরে ধীরে আক্রমণের ধার বাড়ায় কানাডাও। ২৩ মিনিটের মাথায় টানা দুবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। পাঁচ মিনিট পর সুযোগ পেয়ে বাইরে মারেন তাজন ভুজ্জান।
কানাডার জন্য পরে আরও সহজ সুযোগ এসেছিল। সেইল লরিনের পাওয়া ক্রস থেকে স্টেফেন ইসটাকেউয়ের হেড দুর্দান্তভাবে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন মার্তিনেস। এরপর শেষদিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনাও। কিন্তু ফাঁকায় পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি হুলিয়ান আলভারেস। তার দুর্বল শট আটকে দেন কানাডার গোলরক্ষক।
বিরতি থেকে ফেরার চার মিনিটের মাথায়ই গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। গোলরক্ষকের ঠিক সামনে থেকে পা ছুইয়ে পাশে থাকা হুলিয়ান আলভারেসের কাছে দেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ছয় গজ বক্সের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা আলভারেস জোরালো শটে গোল করতে ভুলেননি।
এরপর একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে সহজ দুটি সুযোগ পান লিওনেল মেসি। ৬৫ মিনিটে এমিলিয়ানো মার্তিনেসে করা লম্বা শট খুঁজে পায় মেসিকে। এক ডিফেন্ডার সঙ্গে থাকলেও বল নিয়ন্ত্রণেই ছিল মেসির। কিন্তু গোলরক্ষককে কাটিয়ে নেওয়া তার শট ঠেকিয়ে দেন কানাডার ডিফেন্ডার।
কিছুক্ষণ পর কানাডার জনাথন ডেভিডের শট চলে যায় বাইরে দিয়ে। ৭৯ মিনিটে আরও একবার সহজ সুযোগ পান মেসি। লাউতারো মার্তিনেসের কাছ থেকে পাওয়া বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে তুলে দেন তিনি। কিন্তু অল্পের জন্য বল চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। দ্বিতীয় গোলটি শেষ অবধি অবশ্য পেয়েছে আর্জেন্টিনা।
৮৮ মিনিটে সেটি এসেছে আলভারেসের বদলি হিসেবে নামা মার্তিনেসের পা থেকে। লিওনেল মেসির বাড়ানো থ্রু বল পেয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি। দুই গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। যদিও তাদের সঙ্গী হয়েছে গোল মিসের হতাশা।