দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বৃষ্টির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার শত্রুতা বেশ পুরনো। দুইটি (১৯৯২ ও ২০০৩) বিশ্বকাপে তাদের কপাল পুড়েছিল বৃষ্টির কারণে।

 

তবে এবার আর তা হলো না। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুর্দান্ত পেস আক্রমণ ভয় পাইয়ে দিয়েছিল প্রোটিয়াদের। তবে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে মার্করামবাহিনী।

অ্যান্টিগায় আজ গ্রু পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে তাদের সামনে (৮ উইকেট হারিয়ে) ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে বৃষ্টি আইনে সেই লক্ষ্য নেমে আসে ১২৩ রানে। যা ৭ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ওভারে তারা হারায় দুই ওপেনার রিজা হ্যানড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের উইকেট। দুজনকেই ফেরান ক্যারিবীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। এরপর নামে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টি থামলে বৃষ্টি আইনে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ১৭ ওভারে, লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রানে।

বৃষ্টির পরে প্রতিরোধ গড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবস। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে মার্করাম (১৮) বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। সপ্তম ওভারে গুদাকেশ মোতির বলে হেনরিখ ক্লাসেনের তিন চার ও এক ছক্কায় আসে ২০ রান। তবে পরের ওভারে আলজারি জোসেফের শিকার হন ১০ বলে ২২ রান করা ক্লাসেন।

প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পরের দুই ওভারেই ফের চাপে পড়ে যায় তারা। রাসেলের এক ওভারে আসে ৩ রান। পরের ওভারে রোস্টন চেজের বলে আউট হন ডেভিড মিলার (৪)। ওই ওভারে আসে মাত্র ২ রান। এরপর রাসেল ৬ রান খরচ করে ওভার শেষ করেন।

১৪তম ওভারে ফের ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চেজের করা ওভারের প্রথম বলেই বিদায় নেন ভালো খেলতে থাকা স্টাবস (২৯)। শেষ ৩ ওভারে তখন ১৯ রান দরকার ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে মার্কো ইয়েনসেন। ১৫তম ওভারে আসে ৬ রান।

১৬তম ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজকে বিদায় করেন চেজ। ওভারের শেষ বলে চার হাঁকিয়ে লক্ষ্যটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাতে শেষ ওভারে মাত্র ৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। ভয় কাটিয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেন ইয়েনসেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওপেনার কাইল মেয়ার্সের ৩৪ বলে ৩৫ রান ও চেজের ৪২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াই করার মতো পুঁজি পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা। শেষদিকে ৯ বলে ১৫ রান করে কিছুটা ভূমিকা রাখেন রাসেল।

এই জয়ে গ্রুপ 'টু' থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ ম্যাচের সবকটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট হয়েছে তাদের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি (৭) ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এর আগে ২০০৯ সালে ৬ ম্যাচ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।