দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোটা বৈষম্য নিরসনে একদফা দাবিসহ সারাদেশে বাংলা ব্লকেডে হামলার প্রতিবাদে দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় এ কর্মসূচি পালন করবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহবাগ মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার আগে প্ল্যাটফর্মটির ব্রিফিং থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সার্জিস আলম বলেন, হাইকোর্ট পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা মানে এতে ত্রুটি রয়েছে। সেটিকে আবারও অবৈধ ঘোষণা করা হতে পারে। সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটা সংস্কার করতে হবে। ১ম ও ২য় গ্রেডের তুলনায় অন্যান্য গ্রেডে আরও বেশি মানুষ চাকরি করে। শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ও পাহাড়ের নৃগোষ্ঠীদের ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোটা থাকা উচিত। কোটার যৌক্তিক সংস্কারের মাধ্যমে এই সমস্যাকে চিরদিনের জন্য বিদায় দিতে হবে।

আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, অতি উৎসাহী যেসব পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এছাড়া, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

অপর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, কোটা সরকারের নীতির বিষয়। এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান চাই। হাইকোর্টের সঙ্গে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকারের তাদের কাজ আদালতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এসময় জরুরি অধিবেশন ডেকে সংসদে কোটা আইন পাশ করার দাবিও জানান তিনি। বলেন, এই আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ না হলেও ছিল টানটান উত্তেজনা। পুলিশের প্রস্তুতি থাকলেও কোনো ধরনের অ্যাকশনে যায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে রাজধানীর বাইরে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিলে শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। কুমিল্লায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। চট্টগ্রাম-সিলেটেও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। বাধা উপেক্ষা করেই আন্দোলন অব্যাহত রাখে ছাত্রছাত্রীরা।