দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বঙ্গভবন অভিমুখে পদযাত্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকা। শাহবাগ, পল্টন, প্রেস ক্লাব, সচিবালয়, মতিঝিল জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়কগুলো প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

 

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল এসব এলাকার সড়কগুলোতে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বঙ্গভবনে স্মারকলিপি দিয়ে বের হয়ে পৌনে চারটার দিকে নূর হোসেন স্কয়ার অতিক্রম করলে শুরু হয় গাড়ি চলাচল।

যাত্রীদের অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। অনেকে মেট্রোরেলে করে গন্তব্য যান। তবে বাসসহ অন্যান্য পরিবহন আটকে থাকায় যাত্রীদের বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এর আগে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেন তারা।

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণপদযাত্রা করে শাহবাগ, মৎস্যভবন, হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পৌঁছান শিক্ষার্থীরা। সেখানে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবন যাওয়ার রাস্তায় পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়েন।

দুপুর দেড়টার পর শিক্ষার্থীরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট ধরে এগোতে থাকেন। তবে যানজটের কারণে সেখানে কিছু সময় আটকা পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় সড়কের দুই পাশেই ব্যাপক যানজট দেখা যায়।

পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর মধ্যেই নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। কিছুক্ষণ পর তারা স্টেডিয়ামের পাশের রাস্তা ধরে এগোতে থাকেন।

২টার দিকে শিক্ষার্থীরা গুলিস্তান আন্ডারপাস মোড়ে (স্টেডিয়ামের কোণে) গেলে ফের পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। তবে এখানে কোনো ব্যারিকেড দেখা যায়নি। পুলিশ মানবঢাল বানিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের দিকে যায়।

গুলিস্তান আন্ডারপাস এলাকায় এসময় জলকামান, রায়ট কার, প্রিজন ভ্যানসহ পুলিশের সতর্কাবস্থান দেখা যায়। পাশাপাশি পেছনের দিকে গোলাপশাহ মাজার এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোডাউন দেখা যায়।