দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বড় এলাকাজুড়ে হওয়া এই ভূমিধসে আটকে পড়েছেন আরও শতাধিক মানুষ।

 

ভারতের বিমান বাহিনীসহ বেশ কিছু সংস্থা সেখানে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে কেরালার ওয়েনাড় জেলায় চার ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন এবং আরও শতাধিক লোক আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনডিআরএফ-সহ একাধিক সংস্থা মেপ্পাদির কাছে পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এলডিএফ সরকারকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিজেপি প্রধান জেপি নাড্ডাকে দলীয় কর্মীদের উদ্ধার কাজে সহায়তা নিশ্চিত করতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপীর সাথে কথা বলেছেন, মূলত কেরালা রাজ্যে তিনিই বিজেপির একমাত্র সংসদ সদস্য।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ভূমিধসের পর জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সব সরকারি সংস্থা উদ্ধারকাজে নেমেছে বলে জানিয়েছেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে আটকে থাক লোকজনকে দ্রুত বের করে আনা সম্ভব হয়। রাজ্যের মন্ত্রীরাও একে একে পৌঁছচ্ছেন ওই পাহাড়ি এলাকায়।

রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ভারতীয় বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার শিগগিরই ওয়ানাদের উদ্দেশ্যে রওনা হবে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিতে।

মূলত প্রবল বৃষ্টির জন্যই নেমেছে এই ধস। শুধুমাত্র ধস নয়, আরও একাধিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খলা হয়েছে। দুটি নাম্বারও চালু করা হয়েছে, যেগুলোতে যোগাযোগ করে খোঁজ নেওয়া যাবে।

এছাড়া কেরালার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও এনডিআরএফের টিম পৌঁছে গেছে বিপর্যস্ত এলাকায়। আরও বেশি এনডিআরএফ টিম পাঠানো হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হয়নি, ফলে উদ্ধারকাজ চালানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে।

কতজন ভেতরে আটকে আছেন, তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে শতাধিক মানুষ আটকে আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলের কাছেই রয়েছে চালিয়ার নদী। মালাপ্পুরমের নীলাম্বুরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। খরস্রোতা এই নদীতে অনেকেই ভেসে গেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বাসিন্দারা। ধসে চাপা পড়েছে একাধিক দোকান। অনেকের গাড়ি ও বাইকও চাপা পড়েছে।