দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একদফা দাবিতে আজ রোববার (৪ আগস্ট) সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বেলা ১১টায় রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ পালিত হবে। ঘোষিত এ কর্মসূচির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর সড়কে, চলছে শুধু রিকশা-সিএনজি। 

 

এদিকে সকাল থেকে রাজপথে কয়েকটি বাসের দেখা মিললেও, এতে হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা গেছে যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী যাত্রী, জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষ, হাসপাতালগামী রোগী ও স্বজনরা।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল আটটা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর শ্যামলী, কলেজ গেট, শিশুমেলা, আগারগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, কাকরাইল, মৎস্য ভবন এলাকা সরেজমিনে গণপরিবহন সংকট দেখা যায়। তবে বিভিন্ন সিগনাল ও বাস স্টপেজগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে৷

গণপরিবহন না পেয়ে অনেক যাত্রীকে দেখা গেছে রিকশা বা সিএনজি নিয়ে রওনা দিতে। অনেকে অ্যাপস ভিত্তিক পরিবহন সেবা নিচ্ছেন, অনেক যাত্রীকে বাস আসবে আশায় অপেক্ষায় দেখা যায়। অনেক যাত্রীকে লেগুনায় বাদুড়ঝোলা হয়ে যেতে দেখা গেছে।

ফরহাদ নামে এক মতিঝিলগামী যাত্রী আতঙ্কে আছেন উল্লেখ করে বলেন, আগারগাঁও এলাকায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি। গন্তব্যে যাওয়ার মতো বাস পাচ্ছি না। ভেঙে ভেঙে গেলে বা সিএনজি নিলে অনেক খরচ৷ রিকশায় গেলে সময় লাগবে। গণপরিবহন নেই বললেই চলে। আমার মতো হাজারো মানুষ সড়কে বিপাকে৷ গন্তব্যে যদি কোনোভাবে পৌঁছেও যাই নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আছি অনিশ্চয়তায়।

রিকশা চালক আলাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, সারাদেশে আজ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গণপরিবহন নাই সড়কে। যারা এই সাত-সকালে অফিস যাবেন তারা পড়েছেন বিপাকে। যাত্রী সেবায় আজ ফুলটাইম সড়কে আছি। চার্জ যতক্ষণ সড়কেও ততোক্ষণ থাকবো।

বাসের অপেক্ষায় ফার্মগেটে দেখা যায় শতাধিক যাত্রীকে। সাভার থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীতে ঠাসা ওয়েলকাম পরিবহন পৌঁছতেই অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের দৌড়ঝাঁপ আর হুড়োহুড়ি শুরু হয়।