দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ভারতের সংসদে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

 

ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিবৃতি দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। খুব কম সময়ের নোটিশে তিনি সেই মুহূর্তে ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়ার অনুরোধ করেন। তার বিমান ভারতে আসার অনুমোদন চাওয়া হয়। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি দিল্লিতে এসে পৌঁছান।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনের পর সেখানে প্রবল উত্তেজনা, গভীর বিভাজন ও মেরুকরণ হয়। জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের পর পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, সেখানে সহিংসতা বাড়ে। ভবন ও পরিকাঠামোর ওপর আক্রমণ হয়। রেল ও ট্রাফিক বিঘ্নিত হয়। বিক্ষোভ চলে। আমরা এ সময় বারবার সবাইকে সংযত হতে বলি এবং জানাই যে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে।

জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যে রাজনৈতিক শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, সবাইকে একই কথা বলি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও মানুষের ক্ষোভ কমেনি। বিক্ষোভ চলতে থাকে। এ সময় একটা দাবিতেই আন্দোলন হয়, হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। ৪ আগস্ট পুলিশ আক্রান্ত হয়, সহিংসতা বাড়ে। সংখ্যালঘুদের ব্যবসা ও মন্দিরসহ অনেক জায়গায় আক্রমণ করা হয়।

এমএমএইচ/রেডিওটুডে