দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কমবয়সি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ধনকুবের থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। প্রধানমন্ত্রী হতে যে সংখ্যক সিনেটরদের সমর্থন দরকার ছিল, তা তিনি পেয়েছেন।

এর ফলে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাইল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সি পেতংতার্ন।

এর আগে বুধবার থাইল্যান্ডের সংবিধানিক আদালত স্রেথা থাভিসিনকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয় এবং মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এরপর দেশটিতে নতুন রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। সেই অনিশ্চয়তা দূর করতে শেষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়। অবশেষে ৩৭ বছর বয়সি পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করার সিদ্ধান্ত হয়। পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। কিন্তু এরপরও দেশটিতে তার প্রভাব রয়ে যায়।

থাইল্যান্ডেও পরিবারতন্ত্রের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। পেতংতার্ন তার পরিবারের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা ছাড়াও তার পরিবার থেকে সোমাচাই ওংসোয়াট ও ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সোমাচাই ওংসোয়াট ২০০৮ সালে অল্প কয়েকদিন; আর ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধনমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে দুজনই চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।