দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভুয়া জন্মদিন পালন, মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মানহানির পাঁচ মামলায় খালাস পেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক চারটি ও তোফাজ্জল হোসেন একটি মামলায় তাকে খালাসের আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এসব মামলায় আজ চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী পক্ষ হাজির না হওয়ায় আমরা খালাস চেয়ে আবেদন করি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে এসব মামলা থেকে খালাস দেন। জননেত্রী পরিষদের আহ্বায়ক এ বি সিদ্দিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম প্রমুখ ব্যক্তিরা এসব মামলা করেন। এর মধ্যে এ বি সিদ্দিক মারা গেছেন।

জানা যায়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল। মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার মানহানিসহ কয়েকটি অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন।

এমএমএইচ/রেডিওটুডে