দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (সিআরও)। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী লোকদের ব্যবহার করে ওই পদে চাকরী বাগিয়ে নেন অযোগ্য ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ। 

যিনি ডিএসই থেকে বেতনাদি নিলেও অন্যায়ভাবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধির মতো দায়িত্ব পালন করতেন। যে কারনে তাকে বিএসইসির প্রতিনিধি হিসেবে ডাকা হয়। যিনি ডিএসইতে যোগদানের আগে মার্চেন্ট ব্যাংকে চাকরী করাকালীন সবচেয়ে বাজে কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে এনেছেন।

এই খায়রুল বাশার ডিএসইর দুঃসময়ে ছুটিতে ঘুরতে যান। যেসময় ডিএসইর পর্ষদ ভেঙ্গে যায়, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কেউ নাই। সেই মুহূর্তে তিনি ২০ আগস্টের দিকে লম্বা ছুটিতে চলে যান। যিনি গতকাল (০৮ সেপ্টেম্বরে) যোগদান করেছেন।

তবে ডিএসইর কর্মকর্তা ও ট্রেকহোল্ডাররা মনে করেছিলেন, খায়রুল বাশার নিজেই সম্মান নিয়ে পদত্যাগ করবেন। তিনি আর যোগদান করবেন না। কারন তাকে যারা বিএসইসির প্রতিনিধি হিসেবে ডিএসইতে বসিয়েছিল, তারা এখন নাই। ফলে অযোগ্য বাশারের ডিএসইতে টিকে থাকা সম্ভব হবে না।

ডিএসইর জ্যেষ্ঠ এক ট্রেকহোল্ডার বলেন, গত কমিশন ডিএসইর পুরো কাঠামো নষ্ট করে দিয়েছে। কমিশনের ক্ষমতার অপব্যবহারে ডিএসইর নিজস্বতা বলে কিছু ছিল না। পর্ষদ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টেও তারা নিজেদের লোক বসিয়েছিল। যাদের একজন খায়রুল বাশার। যে ডিএসই থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকার বেতনাদি নিচ্ছে। কিন্তু কাজ করেছে বিএসইসির হয়ে। তবে এসব অপকর্মের দিন শেষ। সে যাদের হয়ে কাজ করেছে, তারাই পদত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যাদের দোসর স্বতন্ত্র পরিচালকেরাও ডিএসইর পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছে স্বেচ্ছায়। এখন খায়রুল বাশারদের মতো লোকজনকেও ডিএসই থেকে বিদায় করা হবেই। তবে বাশার যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে, তাহলে সম্মান নিয়ে যেতে পারবে। অন্যথায় অপমানিত হয়ে বিদায় নিতে হবে। যা করতে চাই না।

খায়রুল বাশার ২০২২ সালের ১২ জুন ৩ বছরের জন্য ডিএসইতে সিআরও পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী পদে কর্মরত ছিলেন।