সরকার ‘আউট-ল’দের মতো আচরণ করছে : রিজভী
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : ‘বর্তমান সরকার সকল বৈধতা ছাড়িয়ে গেছে’ দাবি করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার ‘আউট-ল’দের মতো আচরণ করছে।
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। ১৮ দলীয় জোটের ডাকা টানা ৮৪ ঘণ্টা হরতাল শেষে দেশের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
‘বর্তমান সরকার অবৈধ’ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ অবৈধ সরকারের কথা শুনে জনগণের উপর জুলুম করছে। ‘একটি বিশেষ এলাকার পুলিশ’ এমনটি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, হরতালের শেষ দিনেও ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উপর সরকারদলীয় ক্যাডারদের দিয়ে সাজানো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঝাপিয়ে পড়ে। দলের মহিলা সংসদ সদস্যরা নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের মাথার চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। এটি ‘গণতন্ত্রকামীদের সংগ্রাম অবদমিত করতে অবৈধ সরকারের মরিয়া প্রচেষ্টা।’
মহিলা সংসদ সদস্যদের উপর এ ধরনের ন্যাক্কারজনক আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, ‘আমরা এক কাণ্ডজ্ঞানহীন, উচ্ছৃঙ্খল পুলিশি রাষ্ট্রে বসবাস করছি’- মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, হরতালের শেষ দিনেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের জখম, জুলুম নির্যাতন ও নির্বিচারে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৮৪ ঘণ্টার হরতালে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে দুজন নিহত, দুই হাজার ১১০ জন গ্রেফতার ও পাঁচ হাজার ৪০০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া আসামি করা হয়েছে দুই হাজার ১০০ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং ভ্রাম্যমান আদালত সাজা দিয়েছে ২১ নেতা-কর্মীকে।
রিজভী আটক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তিনি হরতাল সফল করার জন্য দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বিষয়। তা চূড়ান্ত হবার পর জানানো হবে।
‘নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি চলমান আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসবে না। কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে’- জানান রিজভী।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জনগণ জয়ের কাছ থেকে তাদের (জনগণ) কথা শুনতে চায়। কিন্তু তিনি তার মায়ের মতো কথা বলছেন। তিনি আওয়ামী লীগের পুরানো সংস্কৃতির থেকে বের হতে পারেননি। যদি তিনি তার বিজ্ঞানী বাবার মতো কথা বলতেন তাহলে তা গ্রাহ্য হতো।’
(দিরিপোর্ট/এমএইচ/টিএস/এমএআর/নভেম্বর ১৩, ২০১৩)