দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের বিস্তারিত তথ্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আগামী দুই দিনের মধ্যে রেকর্ড বা সংরক্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আন্দোলনে আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।

মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে আন্দোলনে আহত প্রায় ৯০০ জনের বেশি রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। এখানে আহতরা বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এখানে পাঁচজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ হাসপাতালে দুইজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ৬৮ জন চিকিৎসাধীন। আমরা আহদের সঙ্গে কথা বলেছি ও তাদের বক্তব্য শুনেছি। আহতদের বিস্তারিত তথ্য তদন্ত সংস্থা আগামী দুই দিনের মধ্যে সংরক্ষণ করবে।

তিনি বলেন, আহতদের শরীরে যেসব বুলেট লেগেছিল, যেসব গুলি অপসারণ করা হয়েছে, সেগুলো দেখেছি। আন্দোলনকারীদের ওপর বিজিবি ও পুলিশ গুলি করেছে। সবচেয়ে মারাত্মক ঘটনা হচ্ছে যে, একজন গুলিবিদ্ধকে কোলে নিয়ে বসে থাকা অবস্থায়, ওই আহতের গলায় পারা দিয়ে গলার হাড় ভেঙে ফেলেছে এমন ঘটনা জানতে পেরেছি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ভিকটিমরা বলেছেন, বিদেশি ভাষা হিন্দিতে তাদের গালি দিয়েছে, কাছে এসে গুলি করেছে। ভিকটিমরা আরও বলেছেন, বিদেশি সৈন্যবাহিনী তাদের ওপর হামলা করেছে। ' আমরা এসব তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যথারীতি আইন অনুযায়ী বিচারের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা মামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।