দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  ভারতের মাটিতে এর আগে ৮ ইনিংস খেলে ৯৬ রানের বেশি করতে পারেননি মুমিনুল হক। অবশেষে কানপুর টেস্টে খোলস ছেড়ে বের হতে পারলেন তিনি।

 

 

শুধু তা-ই নয়, ১৫ মাস পর পেলেন সেঞ্চুরির দেখাও। তারপরও অবশ্য সেশনটা পুরোপুরি হয়নি বাংলাদেশের। কেননা ভারত এই সেশনে তুলে নিয়েছে তিন উইকেট।

চতুর্থ দিনে ৬ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। মুমিনুল ১০২ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৬ রানে অপরাজিত আছেন। টানা দুদিন পরিত্যক্ত হওয়ার আজ নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় খেলা। প্রথম দিন খেলা হয়েছিল ৩৫ ওভার। যেখানে৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে বাংলাদেশ।

আজ দিনের শুরুতেই ১১ রান করামুশফিকুর রহিমকে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। শুরুতে কিছুটা আক্রমণাত্মক থাকলেও মোহাম্মদ সিরাজের কাছে উইকেট হারান লিটন দাস। ৩০ বলে ৩ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর সাকিব আল হাসানও থিতু হতে পারেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনেরবল হাওয়া তুলে দেন তিনি। পেছনে দৌড়ে গিয়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন সিরাজ। ফলে ১৭ বলে ২ চারে ৯ রানেই থামে সাকিবের ইনিংস।

একপ্রান্ত আগলে রেখে এর মাঝে অবশ্য ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে অশ্বিনকে সুইপে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। হেলমেট খুলে মিরাজের সঙ্গে উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল মুহূর্তটির জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ক্যারিয়ারে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি এবংবিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়। সবশেষ গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

কানপুরে এনিয়ে দ্বিতীয়বার সফরকারী কোনো দলের ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এর আগে ২০০৪ সালে ১৬৩ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ড অ্যান্ড্রু হল।