দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম বলেছেন, অনেকে পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হচ্ছেন। সিস্টেমে ঘাটতি ছিল, আমরা সেগুলো ধীরে ধীরে উন্নত করছি।

 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত অনলাইন বৈঠক-পূর্ব ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

২০১৫ সালে ভোটার হওয়ার পর সম্প্রতি এক ব্যক্তি পুনরায় ভোটার হতে পেয়েছেন- এ নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্মকর্তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওলট-পালটের কথা বলেন। বাঁ হাতের জায়গায় ডান হাত ব্যবহারের কথা বলেন। এ নিয়ে সচিব বলেন, বাঁ হাত-ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুল দিয়েও নাকি অনেকে ভোটার হচ্ছেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেখানে নেওয়া হচ্ছে, সেই জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। সিস্টেমে যেহেতু ঘাটতি ছিল, এগুলো ধীরে ধীরে আমরা ডেভেলপ করছি। এগুলোই তো সংস্কার।

যে কর্মকর্তারা এসব করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে শফিউল আজিম বলেন, আমার লোক যদি ভুল করে থাকে, তাহলে ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি কোথাও গাফিলতি হয়, জানাবেন। রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে আমরা কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি। তাদের ভোটার করার ক্ষেত্রে যিনি জড়িত থাকবেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। দুদক থেকে অভিযোগ এসেছে, তদন্ত চলছে।

একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে গেলে সমাধান পেতে মাঠ পর্যায় থেকে ভোক্তভোগীকে ইসিতে আসতে হয়, এ বিষয়ে ইসির উদ্যোগ জানতে চাইলে সচিব বলেন, এখন থেকে আর ঢাকার আসতে হবে না। উপজেলা কার্যালয়েই সমাধান পাওয়া যাবে। বিষয়টি ডিসেন্ট্রালইজ (বিকেন্দ্রীভূত করা) হয়ে গেছে। মাঠপর্যায়েই সেবা পাবেন।