দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বায়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।  

 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এ ঘোষণা দেন তারা।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় এ কর্মসূচি পালনের কথা রয়েছে।

‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের’ পদত্যাগের দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ দুই সমন্বায়ক।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আওয়ামী লীগের আমলে নিয়োগ পাওয়া বিচারপতিদের ‘দলবাজ’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বায়করা।

হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে আগামীকাল সকাল ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি’।

ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে হাসনাত লিখেছেন, ‘যে লীগের হাতে হাজার হাজার ছাত্র ও নাগরিকের রক্ত লেগে আছে। দুই মাস না যেতেই তাদের কীভাবে দুঃসাহস হয় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে খুনি হাসিনার নামে স্লোগান দেওয়ার?’

একই পোস্টের আরেক কমেন্টে তিনি জানান, ‘সকাল ১১টায় রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হয়ে সেখান থেকে একসঙ্গে হাইকোর্ট অভিমুখে যাত্রা। আবারো কালো শকুনদের উৎখাত করতে রাজপথ প্রকম্পিত হবে। ’

নিজের ফেসবুক পেজে একই ধরনের স্ট্যাটাস দেন সারজিস আলম। ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে তিনি লেখেন, ‘এই খুনি হাসিনার দালালদের কারণেই রাষ্ট্র ঠিকমতো ফাংশন করতে পারছে না। এদের উৎখাত না করা পর্যন্ত দেশ সামনে আগাতে পারে না, পারবে না। ’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেছেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে একজনকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম আদালত এলাকায় দলটির সমর্থক আইনজীবীরা প্রথম প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করলেন। তারপর রাতে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন সারজিস ও হাসনাত।

এদিন পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক ও ফারুক খানকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। তখন আদালতে শুনানি চলছিল। শুনানি শেষ হওয়ার পর ফারুক খানকে এজলাস থেকে আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখন আদালতের সামনে ২০ থেকে ২৫ জন আইনজীবী ও কয়েকজন যুবক স্লোগান দিতে থাকেন।