১৫ মার্চেন্ট ব্যাংক-বিএসইসির বৈঠক বুধবার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ধারাবাহিক পতন রোধ করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ রয়েছে এমন ১৫টি শীর্ষ স্থানীয় মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিএসই) সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিএসইসির সার্ভিল্যান্স ডিপার্টমেন্টর উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি সভার নোটিস জারি করা হয়েছে।
বৈঠকে ডাকা ১৫ মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের নাম হলো- অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড, লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, রূপালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির জারি করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার (২৩ অক্টোবর) একটি সভা আয়োজন করা হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। প্রাসঙ্গিক আলোচনা করার জন্য ১৫টি মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিএসই) সভায় উপস্থিত হবার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম রাইজিংবিডিকে বলেন, পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগ রয়েছে এমন মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের সঙ্গে আমরা বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে বাজারের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব। এর আমরা এ বিষয়ে শীর্ষ ব্রোকারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এ ছাড়া, পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। খুব দ্রুত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যেন আস্থা ফিরে আসে সে লক্ষ্যে বিএসইসি কাজ করছে। আগামীতে এর ফলাফল পুঁজিবাজারে পরিলক্ষিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমান পুঁজিবাজার বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে আন্ডার ভ্যালু অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি মুনাফা পেতে পারেন। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুতই ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে ফিরবেন। এতে পুঁজিবাজার শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস হিসেবে মানি ফ্লো ইনডেক্স এবং আরএসআই দুইটাই মার্কেটে ওভার সোল্ড পজিশনে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে বাই প্রেসার আসতে পারে। এতে যে কোনো মুহূর্তে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
প্রসঙ্গত, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, এসব উদ্যোগের ফলে শেয়ারবাজারের বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা দ্রুত সুফল পাবে। অতীতের দুরবস্থা ও শেয়ার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরকার তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিধা দেবে। রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।