হালান্ডের নজরকাড়া গোলের রাতে সিটির রেকর্ড, লিভারপুলের তিনে তিন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গোলটির পর নিজের পায়ের কারুকার্য নিয়ে বেশ অভিভূতই দেখা গেছে আরলিং হালান্ডকে। ক্যারিয়ারের অসংখ্য গোলের মধ্যে এটিকে হয়তো ওপরের দিকেই রাখবেন তিনি।
গোল অবশ্য আরেকটিও করেছেন এই ফরোয়ার্ড। কিন্তু প্রথম গোলটি এতোটাই নজরকাড়া যে, তা খবরের শিরোনামে আনতে বাধ্য করে।
স্পার্তা প্রাহাকে ৫-০ গোলে হারানোর রাতটি ম্যানচেস্টার সিটির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে আরেকটি কারণেও। এই জয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ল পেপ গার্দিওলার দল। এর মধ্যে ১৮ টিতে জয় ও আটটিতে ড্র করেছে তারা। রেকর্ডটি আগে ছিল তাদেরই নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকে রেড ডেভিলরা।
সিটির মতো রেকর্ড না হলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিতই রয়েছে লিভারপুল। আরবি লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয়ের দেখা পেল তারা। রেড বুল অ্যারেনায় ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন দারউইন নুনিয়েস। ২৭ মিনিটে মোহামেদ সালাহর হেড থেকে পাওয়া বল টোকা মেরে জালে পাঠান তিনি।
পরে লিভারপুলের জালে দুবার বল ফেলে লাইপজিগ। কিন্তু দুবারই অফসাইডে ছিলেন লুইস ওপেন্দা। এছাড়া বেশ কিছু সুযোগও নষ্ট করে স্বাগতিকরা। ফলে ওই এক গোলই লিভারপুলের জন্য জয়সূচক হয়ে দাঁড়ায়।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে সিটিও প্রথমার্ধে গোল পায় একটি। তৃতীয় মিনিটে তাদের এগিয়ে দেন ফিল ফোডেন। বিরতির পর আরও বিধ্বংসী রূপে ধরা দেয় সিটি। ৫৮ মিনিটে হালান্ড উপহার দেন সেই জাদুকরী গোল। ডানপ্রান্ত থেকে ডি বক্সে ক্রস বাড়ান সাভিনিও। নিজের বাম পা অনেকটা উঁচুতে উঠিয়ে সেটিতে ব্যাকহিল শট করেন হালান্ড। বল জালে প্রবেশ করার আগপর্যন্ত একবার ফিরিয়েও তাকাননি এই ফরোয়ার্ড।
৬৪ মিনিটে ম্যাথিয়াস নুনেসের ক্রস থেকে হেডে গোল করে সিটিকে আরও এগিয়ে দেন জন স্টোনস। এর চার মিনিট পর আবারও সাভিনিওর সহায়তা নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন হালান্ড। ৮৮ মিনিটে সিটির পঞ্চম গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। যার ফলে স্কোরশিটে নাম ওঠে নুনেসের। এই জয়ের পর ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে আছে সিটি। ৯ পয়েন্ট পেয়ে দুইয়ে লিভারপুল। সমান পয়েন্ট হলেও গোলগড়ে এগিয়ে থাকার কারণে শীর্ষে অ্যাস্টন ভিলা।