শেখ হাসিনা আশ্রয় নেওয়ার পর পুতুলকেও নিরাপত্তা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে নিরাপত্তা দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ।
শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসার পর শেখ হাসিনা দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামেন। সেখানে তিনি দুদিন অবস্থান করেন। পরে তাকে লোধি গার্ডেনের লুটেনস বাংলো জোনে তার মর্যাদা অনুসারে থাকার জন্য বেশ বড়সড় বাংলো দেওয়া হয়। তাকে বহুস্তুরের নিরাপত্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।
দিল্লির ইন্ডিয়া গেট এবং খান মার্কেটের কাছে লুটেনস বাংলো জোনের যে বাড়িটিতে তাকে রাখা হয়েছে সেটি ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) সেইফহাউস, বলা হয় প্রতিবেদনে।
হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে আসার পর সায়মা ওয়াজেদকেও দিল্লি পুলিশ নিরাপত্তা দিয়েছিল। কড়া এবং গোপন নিরাপত্তা প্রোটোকলের অধীনে গত দুই মাসে শেখ হাসিনা ও সায়মা কয়েকবার দেখা করেছেন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারায় সরকার পতনের এক দফায়৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গণভবন ছেড়ে সামরিক কার্গোউড়োজাহাজে সংক্ষিপ্ত নোটিশেভারতে চলে যান শেখ হাসিনা,সঙ্গে ছিলেন তার ছোট শেখ রেহানা।
ভারতে শেখ হাসিনার আশ্রয় নেওয়ার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।অবশ্য পরে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব পড়বে না।
এ অবস্থায় দ্য প্রিন্টের খবরে শিরোনাম হন শেখ হাসিনা, যেখানে বলা হয়, তিনি ভারতেরই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আছেন। শুক্রবার হিন্দুস্তান টাইমস জানাল, দিল্লিতে বহু স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টিত লুটেনস বাংলো জোনে আছেন তিনি।