দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গত অগাস্টে রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর হঠাৎ করে অপরাধীদের ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আড়াই মাসে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় খুন হয়েছেন অন্তত সাত জন। এর মধ্যে গুলিতে, ছুরিকাঘাতে ও পিটিয়ে হত্যার ঘটনা আছে। গুলিতে আহত হয়েছেন অনেকেই। দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের পাশাপাশি গাড়ি থামিয়ে কোম্পানির টাকা লুটের ঘটনাসহ হচ্ছে ‘গ্যাং ফাইট’। এমনকি নির্মাণাধীন ভবনে ঢুকে ট্রাকে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী।

 

এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র-জনতা।

শনিবার বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি থেকে এই আলটিমেটাম দেন তারা। এর আগে থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।

পরে লিখিত দাবি নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জের কক্ষে প্রবেশ করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় দ্রুত এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আশ্বাস দেন পুলিশ। সেইসাথে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চান তারা।

তেজগাঁও জোনের এডিসি মোহাম্মদ জিয়া স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন। আর মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিডি নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প (বিহারি ক্যাম্প) এলাকায় সোমবার রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এক শিশুসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি লুট হয়। সেই অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে বিহারি ক্যাম্পে কয়েকটি গ্রুপ মাদক ব্যবসা এবং চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে।