দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৭ অক্টোবর) সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।

 

এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে সামান্য বেড়েছে। একইসঙ্গে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমেছে।

এদিকে, রোববার সকাল থেকেই উভয় পুঁজিবাজারে দরপতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূচকের পতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতন হয় ১৪৯ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতনের প্রতিবাদে এদিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় হিসেবে ১০টি দাবি পেশ করেন।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪৯.২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়া সূচক ৩৬.২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪৮.১৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৯টি কোম্পানির, কমেছে ৩৪১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৬টির।

ডিএসইতে এদিন মোট ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩০৬ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ১৬৬.১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫৩৯ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭৪.২৯ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৮ পয়েন্টে, শরিয়া সূচক ১৭.৫২ পয়েন্ট কমে ৯০৯ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১২৮.৪৪ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে ২০৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ২৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭টির।

দিনশেষে সিএসইতে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

মানবন্ধনকালে পুঁজিবাজার পতন রোধে তাৎক্ষণিক করণীয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নূরুল ইসলাম মানিক বলেন, বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে গেইন-ট্যাক্স দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।

বর্তমান মার্কেট পরিস্থিতির কারণে অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে (তদন্ত ও অসময়ে জেড গ্রুপে প্রেরণ ইত্যাদি)। কোম্পানিসমূহের শেয়ার এ কোন ক্যাটাগরি থাকতে পারবে না (যেমন- ‘এ’ ‘বি’ ‘জেড’ ইত্যাদি)। কোম্পানিগুলোকে আয়ের ন্যূনতম ৮০% লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে।

ব্যাংক, ফাইন্যান্স, ইন্স্যুরেন্স, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও আইসিবিসহ পুঁজিবাজারে তাহাদের যতটুকু বিনিয়োগ করার কথা তা শতভাগ কার্যকর করতে হবে। এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড মার্কেটে (ইটিএফ) দ্রুত বিনিয়োগ করতে হবে। কোম্পানিগুলোকে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ ৩০% অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।

বিএসইসি’র দায়িত্ব অন্তত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড দ্রুত সময়ের মধ্যে বাজার বিনিয়োগ নিয়ে আসা। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোনও কোম্পানি পর পর দুই বছর লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাহার বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। সর্বশেষ ফোর্স সেল বন্ধ করতে হবে।