দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই টেস্টের দল থেকে বাবর আজম বাদ পড়ায় প্রতিবাদ করেন ফখর জামান। সেজন্য তাকে শোকজ নোটিশ পাঠায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

 

 

সেই নোটিশের জবাব অবশ্য দিয়েছেন তিনি। তবে তা কাজে লাগেনি।


ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের সাদা বলের দল ও কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে জায়গা হারিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তার বাদ পড়ার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে ‘বিতর্কিত’ সেই টুইট। তবে এর চেয়ে ফিটনেস ইস্যুকেই বড় করে দেখছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাদা বলে পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি।

সেখানেই ফখর প্রসঙ্গে নাকভি বলেন, ‘টুইটের বিষয়টি অবশ্যই আমলে নিয়েছি আমরা। তবে এর চেয়েও আমরা বেশি গুরুত্ব দিয়েছি তার ফিটনেস টেস্টগুলোতে। তার দুটো ইস্যু ছিল- ফিটনেস টেস্ট ও শোকজ নোটিশ, যা এখনো ঝুলে রয়েছে। এই কারণেই তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেওয়া হয়নি। ’

‘ফখর কানেকশন ক্যাম্পে ভালোই কথা বলেছে এবং এর ফলে আমরা অনেক কিছু ঠিক করেছি ও আন্তর্জাতিক বিভাগে আরও কাজ করছি। সেজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এর মানে এই নয় যে, একজন খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হলে আরেক খেলোয়াড় নির্বাচক কমিটির বিরুদ্ধে টুইট করা শুরু করবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না এবং মেনে নেওয়া হবে না। তবে বড় ইস্যু হলো তার ফিটনেস টেস্ট। ’


বাবর বাদ পড়ার পর তার পাশে দাঁড়িয়ে ফখর টুইটারে লিখেছিলেন, ‘বাবর আজমকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শুনছি, এটা উদ্বেগজনক। ভারত তো বিরাট কোহলিকে ২০২০ থেকে ২০২৩ সালের খারাপ সময়ের জন্য বেঞ্চে বসায়নি। ওই সময় কোহলির গড় ছিল যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১ এবং ২৬.৫০। ’

‘আমরা যদি দলের প্রধান ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে রাখার চিন্তা করি, যে কি না তর্কযোগ্যভাবে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান, এটা দলের মধ্যে গভীর নেতিবাচক বার্তা দেয়। এখনো প্যানিক বাটনে চাপ দেওয়াটা এড়ানোর সময় আছে। প্রধান খেলোয়াড়দের অবমূল্যায়ন না করে তাদের রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে আমাদের। ’