ছাত্র-জনতার আন্দোলন: সাকিবের বাবার নেতৃত্বে ২ হত্যার অভিযোগ!
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের একদিন আগে মাগুরায় গত ৪ আগস্ট দুইজন বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত ও অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের একদিন আগে মাগুরায় গত ৪ আগস্ট দুইজন বিক্ষোভকারী গুলিতে নিহত ও অন্তত ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হন।
গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বাংলাদেশি নিউজ পোর্টাল বাংলা আইউটলুকের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই হত্যাকাণ্ডে মাগুরায় সরকার সমর্থক সশস্ত্র অস্ত্রধারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন মাগুরা -১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বাবা খন্দকার মাশরুর রেজা (কুটিল)।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের বিতর্কিত নির্বাচনের আগ থেকেই তৎকালীন এমপি সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক কার্যক্রম তার অনুপস্থিতিতে তার বাবা তদারকি করে আসছিলেন।
বাংলা আউটলুকের বিস্তৃত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী শহরের ঢাকা রোডের কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। ওই হামলার নেতৃত্ব দেন সাকিবের বাবা। আর ওই সময় তার সঙ্গে সাকিবপন্থি আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
৪ আগস্ট মাগুরা শহরে তিন ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে নিহত হন জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি (৩২) এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসেন (২১)।
এরা দুজনেই গুলিবিদ্ধ হন শহরের ঢাকা রোড সংলগ্ন পারনান্দুয়ালী পুরাতন ব্রিজের কাছে। রাব্বি নিহত হন সোয়া ১১টার দিকে। আর ফরহাদ নিহত হন দুপুর ১টা ৪৬ মিনিট থেকে দুপুর ২টার মধ্যে।
মাগুরায় এই দুই হত্যাকাণ্ড এবং প্রায় তিন ডজনের বেশি ছাত্র জনতা আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাকিব বা তার বাবার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হয়নি। বিএনপির কর্মীদের অভিযোগ, জেলা বিএনপির নেতৃত্বে আছেন সাকিবের আত্মীয়-স্বজনরা। জ্যেষ্ঠ এই নেতারা সাকিব পরিবারের বিরুদ্ধে কৌশলে মামলা করতে দেননি।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে মাগুরার বাড়িতে গিয়ে সাকিবের বাবা বা পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তাদের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিতরা বলছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর সাকিবের বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও দেশ ছেড়েছেন। তবে তারা আসলে কোথায় অবস্থান করছেন তা নিশ্চত করা যায়নি।