সরকারি খরচে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সরকারি খরচে তথা ফ্রি হজে যাওয়ার প্র্যাকটিসকে সরকার বন্ধ করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেন।
তবে হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবশ্যই সরকারি খরচে হজব্রত পালনে যেতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রোববার (৩ নভেম্বর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’-এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আফম খালিদ হোসেন বলেন, সরকারি অর্থে আগে হজে যাওয়ার একটা প্রবণতা ছিল। টাকা দিত সরকার আর কিছু মানুষ ফ্রি হজে যেতেন। অথচ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আমরা এদেরকে নিতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংযুক্ত তারা তো অবশ্যই যাবেন। কিছু অফিসার আছেন, কিছু কর্মকর্তা আছেন তারা সরকারি টাকায় হজ করতেন। আমরা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে, ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়টিকে ডিসকারেজ করেছি। আমরা বলেছি, এমন লোকজনকে (ফি হজ সুবিধায়) নেব না। আর সরকারি পর্যায়ে গত বছর আমরা চার হাজার জনকে নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গত ২৪ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বছর সরকারি খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
সুন্নাহ্ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের সারাজীবন প্রয়াস চালাতে হবে। সুন্নাহ যদি জীবিত থাকে বেদআত বিতাড়িত হয়ে যাবে। তৌহিদ যদি প্রতিষ্ঠা করতে পারি শিরক বিতাড়িত হয়ে যাবে। আমাদের সমাজে সুন্নাতের নামে বেদআত চলছে। তৌহিদের নামে শিরক চলছে। এটাকে ডিফ্রেনশিয়েট করে সত্যিকার সুন্নাহ মানুষের মাঝে, মানুষের জীবনধারায় আমাদের প্রবিষ্ট করতে হবে। সুন্নাহকে বাদ দিয়ে আমাদের দেশে এমন কি বাইরেও কোরআন চর্চা হয়, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু কোরআন চর্চা করতে গিয়ে অনেক হাদিস এবং সুন্নাতকে অস্বীকার করা হয়। এটা আরেক ধরনের গোমরাহি। কারণ কোরআনুল কারিমের বেশিরভাগ ব্যাখ্যা হলো সুন্নতে রাসুল, হাদিসে রাসুল নিয়ে।
কনফারেন্স অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মনজুরে এলাহীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের ডেপুটি হেড অব মিশন জিয়াদ হামাদ, কুষ্টিয়া উসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামছুল আলম ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমানসহ আরও অনেকে।