ভুল বার্তা দেয়, বিভ্রান্ত করে এমন তথ্য নয়: ইফতেখারুজ্জামান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করা উচিত না- যেটা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, যেটার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়।
এ ধরনের তথ্য প্রচার প্রকাশ করা গণমাধ্যমের যে মৌলিক ও নৈতিক অবস্থান, তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, যারা নিজেদেরকে গণমাধ্যম বলে দাবি করে, তাদের কাজ হচ্ছে সত্য তথ্য প্রকাশ করা। তারা যদি সেখান থেকে বিচ্যুত হয়, তাহলে গণমাধ্যমের যে মৌলিক মানদণ্ড আছে- সেটা হারাবে। গণমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য প্রচার বা প্রকাশ করা উচিত না- যেটা মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, যেটার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। মানুষের কাছে ভুল বার্তা যায়। এ ধরনের তথ্য প্রচার প্রকাশ করা গণমাধ্যমের যে মৌলিক ও নৈতিক অবস্থান তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নৈতিক অবস্থান যেটা হওয়া উচিত, সেটা হলো প্রকৃত তথ্য প্রচার করা বা প্রকাশ করা গণমাধ্যমের দায়িত্ব। প্রতিটি গণমাধ্যমের তো একটা সম্পাদকীয় নীতিমালা রয়েছে অথবা মানদণ্ড থাকা উচিত। আছে বলেই আমরা ধারণা করি। মূল বিষয়টা হচ্ছে যেটা সত্য ঘটনা সেটাই প্রকাশ করা।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, যদি তথ্য যথাযথভাবে যাচাইবাছাই করে প্রকাশ না করা হয়, তাহলে গণমাধ্যমের মৌলিক ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেবে অথবা রাষ্ট্রের স্তম্ভ হিসেবে ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেবে। গণমাধ্যমের ভূমিকা শুধু তথ্য প্রচার করা প্রকাশ করাই না- গণমাধ্যমের ভূমিকা সংবাদ প্রকাশ এবং প্রচারের মাধ্যমে জনস্বার্থ সুরক্ষা দেওয়া, গণমাধ্যম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অন্যতম স্তম্ভ- সেটা ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক ঘটনা আছে, প্রতিবেদন দেখছি- যা বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বা আমাদের বৈষম্যবিরোধী যে মূল চেতনা, মূল যে অভীষ্ট লক্ষ্য নতুন বাংলাদেশ- সেটি অর্জনে আসলে অন্যতম ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করার কথা, সেখানে গণমাধ্যম যদি তার ভূমিকা থেকে বিচ্যুত হয়, সেটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে।