দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করে নির্বাচনে যাব—এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। আমাদের সংস্কার প্রয়োজন আছে, কিন্তু সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার এমন কোনো জিনিস নয় যে, আজকে সংস্কার করে তা তালাবদ্ধ করে রাখব।

 

 

তারপর আগামী ১০, ২০, ৫০ বছরেও আর সংস্কার করব না।

খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির শেষ দিনে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কী কী সংস্কার করা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করতে হবে। সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে—এটাই দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশা।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরের শহীদ হাদিস পার্কে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, দেশ স্বাধীনের পরে দেশে গণতন্ত্র ছিল না। যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। ৭ নভেম্বর অভূতপূর্ব বিপ্লবের মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ভেঙে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন এদেশের সিপাহি-জনতা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষকে পরিচয় দিয়েছিলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, সাংবাদিক রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

পরে সভাস্থলে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে প্রকাশিত বিশেষ ক্রোড়পত্র ‘প্রথম বাংলাদেশ’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। সন্ধ্যায় জাসাসের উদ্যোগে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।