দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ গ্রামীণের ছয় প্রতিষ্ঠানে অনাধিকার প্রবেশ, জালিয়াতি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের নামে মামলা হয়েছে।

 

রোববার (১০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ প্রতীমের আদালতে মামলাটি করেন গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকার শাহ আলী থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-মাসুদ আখতার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়টসের ব্যারিস্টার মাসুদ আখতার, কনসালটেন্ট জীম যোবায়েদ, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হাসান, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাশেদ আলী, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান মৃধা, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া, উপদেষ্টা এস আব্দুর রশীদ, সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা ও গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের সদস্য রাজু মিয়া মিজানুর রহমান, ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের গণসংযোগ কর্মকর্তা তানন খান, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফয়জুল হক, উপ-মহা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গোলাম জাকারিয়া, হারুন অর রশীদ, তরিকুল ইসলাম, প্রিন্সিপাল অফিসার গবীন্দ সাহা ও কৃষ্ণ কান্ত রায়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২ ফেব্রুয়ারি আসামিরা গ্রামীণ কল্যাণ অফিসে উপস্থিত হয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনপূর্বক নিজেদের গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃক মনোনীত গ্রামীণ কল্যাণের নতুন পরিচালক পরিচয় দিয়ে অপরাধমূলক অনধিকারে টেলিকম ভবনে পঞ্চম ফ্লোরে অবস্থিত গ্রামীণ কল্যাণের অফিসে প্রবেশ করে কোম্পানির মানহানি ও সংরক্ষিত মূল্যবান নথিপত্র ও আসবাব পত্রের ক্ষতি করেন। আসামিরা টেলিকম ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত গার্ড তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিদের মধ্যে একজন নিজেকে ‘কর্নেল রাশেদ’ বলে পরিচয় দেন এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে এসেছেন বলে ধমকের সুরে জানান এবং দায়িত্বরত গার্ডকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে গালি দেন।

একপর্যায়ে লবিতে অবস্থিত সিকিউরিটি এক্সেস কন্ট্রোল সিস্টেমের ওপর দিয়ে ডিঙিয়ে জোরপূর্বক কিছু ব্যক্তি লিফ্ট লবির সামনে এবং কিছু ব্যক্তি সিঁড়ি দিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ গ্রামীণের আরও ৬টি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হামলা ও দখলের চেষ্টা করেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে শাহ্ আলী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে মর্মে প্রত্যাখান করে। তাছাড়া তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন ভয়-ভীতির কারণে মামলা দায়েরে বিলম্ব হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।