দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘‘শেখ হাসিনার প্রত্যেকটা সংবাদ সম্মেলন পর্যবেক্ষণ করা হবে। সেখানে কী হতো, কারা কী রোল প্লে করেছে; এগুলো ধরে ধরে সংস্কার কাজ এগুতে হবে। তাহলে সুবিধা হবে।’’

 

তিনি বলেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট যেভাবে ভয়েস কেড়ে নিয়েছে, তা করা হবে না। প্রত্যেকটা ফ্যাক্ট ধরে আলোচনা করা হবে। কিন্তু, কারও কাজের স্বাধীনতা খর্ব করা হবে না।’’

বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা, জবাবদিহিতা ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব বলেন শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ‘‘১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কীভাবে সাংবাদিকতা হয়েছে, কারা হিরো শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করেছে; এগুলো ধরে ধরে আলোচনা করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। শুধু জুলাই থেকে নয়, আরও আগে থেকে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘‘যারা ক্ষমতার দম্ভকে এড়িয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করেছে, তারা হিরো। কিন্তু, অনেকেই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, পরিচালনা করেছে; তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এত বাচ্চাকে হত্যায় কারা মিস ইনফরমেশন দিয়েছে, কারা আড়াল করেছে; এগুলো নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘কারা গণহত্যার বিষয়গুলো তুলে ধরেছে, সেগুলোও আলোচনায় আনতে হবে। ২০১৪-১৫ সালে প্ল্যানিং অগ্নিসংযোগকে কারা অগ্নিসন্ত্রাস আখ্যা দিয়ে বিষয়টি স্টাব্লিশ করেছে; হেফাজতে হত্যা, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে কী সাংবাদিকতা হয়েছে, সেগুলো নিয়েও বিশ্লেষণ হচ্ছে।’’