সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কুশল বিনিয়ময় করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তাদেরকে পাশাপাশি চেয়ারে বসতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে তাদের দুইজনের সাক্ষাৎ হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনূস প্রথমে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। তখন খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস দুইজনেই পাশাপাশি চেয়ারে বসেছেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, বিকেল পৌনে ৪টায় সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে পৌঁছান খালেদা জিয়া। তখন তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ২৬ নেতার নামে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়।
দিদার জানান, এছাড়া সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দাকার মোশাররফ, আব্দুল মঈন খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের ফজলে এলাহী আকবর, বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এ কে এম শাসমুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসভবন ফিরোজা থেকে নিজের সাদা রঙের প্রাডো গাড়ি করে সেনাকুঞ্জে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। সেখানে গিয়ে হুইল চেয়ারে করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফর করেন খালেদা জিয়া। আর ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। তারপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেলেও কোনো জনসম্মুখে অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।
ফলে, প্রায় ৬ বছর পর কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনীর অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দিয়েছিলেন।
২০১০ সালের নভেম্বরে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়াকে তার সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এর পর থেকে তিনি আর সেনানিবাসে যাননি।