অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: মির্জা ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার ব্যর্থ হলে দেশ ব্যর্থ হবে। গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হলে দেশ আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বনানীতে হোটেল লেকশোরে লেখক জয়নাল আবেদীনের ‘তারেক রহমান: পলিটিক্স অ্যান্ড পলিসিস কনটেমপোরারি বাংলাদেশ’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে সরকারকে। চলমান সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিঘ্ন করার হঠকারিতা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক হঠকারী, উসকানিদাতা বিভিন্নভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন, ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন, এটা কোনভাবেই কোনো সচেতন মানুষের, দেশপ্রেমিক মানুষের মেনে নেওয়া উচিত নয়। আমি অনুরোধ জানাব, অনুগ্রহ করে এই ভয়াবহ আত্মহননের কাজ থেকে সরে আসুন। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করুন।
দুর্ভাগ্যক্রমে আজকে একটা ভয়াবহ কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংবাদপত্রের ওপর আঘাত, স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশের প্রতি আঘাত—যার জন্য আমরা সবসময় সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি—বেগম খালেদা জিয়াই প্রথম ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে সংবাদপত্রকে সম্পূর্ণ মুক্ত করেছিলেন।
বণিক বার্তার সম্পাদকের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তিনি আমাকে বলছিলেন, আপনারা এই কথাটা বলেন না কেন? সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি ভোগ করেছে খালেদা জিয়ার সময়, বিএনপির সময়, এটাই বাস্তবতা। তিনি বলেন, আজকে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা যেসব কাজ করছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটা একটি অন্তর্বর্তী সরকার, তাদের পক্ষে সবকিছু একসাথে করা সম্ভব নয়। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, যাতে করে ন্যূনতম সংস্কার হয়। যেটা গতকাল আমাদের তারেক রহমান সাহেবও বলেছেন যে, সংস্কার করতে হবে; আমরা সংস্কার বিরোধী নই, সংস্কার করেই নির্বাচনে যেতে চাই।