বিক্ষোভের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেফতার হওয়া আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে মোট ১৮৮ জনকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দিল আরব আমিরাত।
শুক্রবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সারওয়ার আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
সারওয়ার আলম বলেন, জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা আন্দোলন শুরু করলে শেখ হাসিনা আন্দোলন থামানোর জন্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নেন। সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ জানান। তেমনি স্থানীয় আইন ভঙ্গ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ও নানাভাবে আন্দোলের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন এবং হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।স্থানীয় আইন ভঙ্গ করায় তাদেরকে আটক করে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পরপরই এসব প্রবাসীদের মুক্ত করার উদ্যোগ নেয় এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে অনুরোধ জানান। তার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে ১১৩ জন এবং আজ (শুক্রবার) ৭৫ জনসহ মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দেয় দেশটি। ১১৩ জন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। আজ মুক্তি পাওয়া ৭৫ জন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের। সেখানে বড় অংশজুড়ে ছিল ৫৭ বাংলাদেশির শাস্তি মওকুফের বিষয়টি। প্রধান উপদেষ্টা প্রেসিডেন্টকে প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট তার কথা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা এ সুখবরটি পেয়েছেন।