ব্যাটিংয়ে অলআউট ১৬৪ রানে, বোলিংয়েও হতাশা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আশা নিয়ে শুরু হওয়া দিনে হতাশার শুরু প্রথম সেশনেই। বাংলাদেশ হারায় চার উইকেট।
এরপর আর সেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। দেড়শর আশেপাশে অলআউট হওয়ার পর সুবিধা করতে পারেনি বোলিংয়েও।
কিংসটনে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দ্বিতীয় দিনের শেষ অবধি ১ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান করেছে ক্যারিবীয়রা।
আগের দিন দুই উইকেট হারালেও শেষটা বাংলাদেশের জন্য ছিল স্বস্তিরই। সাদমান ইসলাম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন, তার সঙ্গী শাহাদাৎ হোসেন দীপুও খেলেছিলেন অনেকগুলো বল। দ্বিতীয় দিনেও তাই ভরসা ছিল তাদের ওপর।
আগের দিন খেলা কম হয়েছিল ৬০ ওভার। এদিন তাই ম্যাচ শুরু হয় ১৫ মিনিট আগে। শুরুটা সাবধানেই করেন দীপু ও সাদমান। কিন্তু বাংলাদেশের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তাদেরকে প্রথম ধাক্কা দেন শামার জোসেফ।
তার দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে বোল্ড হয়ে যান ৮৯ বল খেলে ২২ রান করা দীপু। তার সঙ্গে সাদমানের জুটি ছিল ১৯৩ বলে ৭৩ রানের। জুটি ভাঙার পর যেন ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংও।
৬ বলে ১ রান করে জেডন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। এরপর শামার জোসেফকে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দেন জাকের আলি অনিক। ১০ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
উইকেট যাওয়ার এই ভিড়েও ভরসা ছিলেন সাদমান ইসলাম। তার ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ স্বস্তি খুঁজছিল। কিন্তু শামার জোসেফের দুর্দান্ত এক ডেলেভারিতে ফিরতে হয় তাকেও। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ১৩৭ বলে ৬৪ রান করে আউট হন তিনি।
এ অবস্থায় কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের দুজনের ১১৬ বলের জুটিতে আসে ৪১ রান। ৬৬ বল খেলে ১৬ রান করে শেষ হয় তাইজুলের লড়াই, ভাঙে জুটিও। সিলসের বলে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৭৫ বলে ৩৬ রান করেন মিরাজ। ৪ উইকেট পান সিলস, শামার জোসেফ তিনটি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা সাবধানী শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভালো বোলিং করলেও উইকেটের দেখা পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশ। তাদের প্রথম উইকেট এনে দেন নাহিদ রানা। মিকাইল লুই তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
তবে এটুকুতেই বাকি দিন পার করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যাচে তারা ৯৪ রান পিছিয়ে থাকলেও হাতে আছে ৯ উইকেট। ১১৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ৬০ বলে ১৯ রান করেছেন ক্যাসি কার্টি।