দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: যশোর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ঢাকাস্থ যশোরবাসীর মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) স্বাধীনতা যুদ্ধে যশোর মুক্ত দিবসে রাজধানী ঢাকার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে এই মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

 

যশোর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মিলনমেলায় উপস্থিত ছিলেন, ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি মো. আমিনুর রহমান, মিলনমেলা বাস্তবায়নের সদস্য সচিব ড. আব্দুল মান্নান, ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপেষক মাও. আজিজুর রহমান, মো. গোলাম রসূল, মাও. হাবিবুর রহমান, অ্যাড.গাজী এনামুল হক, অধ্যাপক মুক্তার হোসেন, মো. আরশাদুল আলমসহ যশোরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। মিলনমেলায় পাঁচ শতাধিক যশোরবাসী অংশ নেন।

মিলনমেলায় যশোর ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ফাউন্ডেশন শীতের সময় দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদে পিছিয়ে পড়া মানুষেরমাঝে উপহার বিতরণ, বিভিন্ন সেবা সম্বলিত তথ্যকেন্দ্র ও মিডিয়া সেল গঠন করে সেবা দেয় যশোর ফাউন্ডেশন।

এছাড়াও কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা, মেধাবী ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান, কৃতি শিক্ষার্থীদের এককালীন সহায়তা এবং ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের পরামর্শ/কোচিং এ সহায়তা প্রদান করে ফাউন্ডেশনটি। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

মিলনমেলা থেকে যশোরবাসীর পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি পেশ করেন মিলনমেলা বাস্তবায়নের সদস্য সচিব ড. আব্দুল মান্নান। এগুলো হলো, যশোরকে বিভাগ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করা, যশোর পৌরসভাকে অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনে রুপ দেওয়া, যশোরকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে ঘোষণা করা, বেনাপোল বন্দর আধুনিকায়ন ও বন্দর থেকে অর্জিত রাজস্ব বড় অংশ যশোরেরউন্নয়নে ব্যয় করা, সবজি ও ফুল সংরক্ষণে যশোরে বিশেষায়িত হিমাগার স্থাপন, যশোর বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসেবে উন্নীত ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করা, কপোতক্ষ ও ভবদহের সমস্যার স্থায়ী সমাধান ও দ্রুত বিল কপালিয়ায় জোয়ারাধার (টিআরএম) চালু করা, ভৈরব নদ সংস্কারের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার সুবিধার্থে যশোর একটি কন্টেইনার পোর্ট স্থাপন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্প বিকাশে দ্রুত গ্যাস সংযোগ চালু, খুলনা থেকেঢাকা এবং বেনাপোল থেকে ঢাকা; অতিরিক্ত আরো রেল চালু করতে হবে এবং যশোর শহরে ঢাকা থেকে যাওয়া ট্রেন থামানো, যশোর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং ক্যাডেট কলেজ চালু, যশোরের ঐতিহ্য রক্ষায় একটি খেজুর গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা, যশোরে পৃথক টিভি স্টেশন ও পূর্ণাঙ্গ রেডিও স্টেশন চালু, ঝুমঝুমপুর শিল্পনগরীকে অধুনিকায়ন ও পৃথক রপ্তানি প্রক্রিয়া অঞ্চল গঠন, যশোরে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট "যশোর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ডহাসপাতাল" নির্মাণ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘মুন্সী মেহেরুল্লাহ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ নামেরূপান্তর, যশোরে ফুল গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে দ্বিতীয় পদ্মাসেতুর কার্যক্রম দ্রুত শুরু করা।