"আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না"
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুলিশ আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না।
আমরা আপনাদের (জনগণ) সেবা দিতে চাই, কারো কোনো কষ্টের কারণ হতে চাই না। আন্তরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে আপনাদের কষ্টের অংশীদার হতে চাই।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর বাড্ডার টাইকিং পার্টি সেন্টারে পুলিশ, ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার নাগরিকদের সমন্বয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা।
রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, আমাদের কাজের মাধ্যমে পুলিশকে মানুষের আত্মার জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে চাই। আপনারা যে কোন প্রয়োজনে আসবেন, আমরা আপনাদের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। নতুন করে পাওয়া এই বাংলাদেশকে আমরা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়তে চাই।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্কটা খুবই নিবিড়। একে অন্যের পরিপূরক। পুলিশের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। একটি সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণে এককভাবে পুলিশের পক্ষে কোনোকিছুই করা সম্ভব নয়, যদি না জনগণ তথ্য ও সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকে।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. তারেক মাহমুদ বলেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। যার ফলে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনিভাবে পুলিশি সেবায়ও এসেছে আমূল পরিবর্তন। আগামীতে পুলিশকে আরো জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও বাড্ডা থানা এলাকার নাগরিকরা ডিবি প্রধানের কাছে তাদের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।
গুলশান বিভাগের ডিসি মো. তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি অনিক জাহান শাওনসহ পুলিশের গুলশান বিভাগের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বাড্ডা থানা এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।