ছাত্রলীগের সাবেক ক্যাডারকে আর্থিক গোয়েন্দার প্রধান করতে ফ্যাসিস্টরা তৎপর
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: এবার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক ক্যাডারকে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান করার তৎপরতা চলছে। পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের দোষর হিসেবে চিহ্নিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা পদস্থ কর্মকর্তারা বহুমূখী কৌশলে এ তৎপরতায় অনেকটা এগিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র দ্যা রিপোর্টকে নিশ্চত করেছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হলের এক সময়ের সম্মুখ সারির ছাত্রলীগ নেতা মোঃ রফিকুল ইসলামকে বিএফআইইউ’র প্রধান করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সমর্থিত ব্যাবসায়ীদের নেপথ্য সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শ্রেণীর সুবিধাভোগী কর্মকর্তা জোড় তৎপরতা চালাচ্ছেন।
তারই অংশ হিসেবে রফিকুল ইসলামকে দিয়ে ওই পদের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য আবেদন করানো হয়েছে। তার আবেদন গ্রহণ করে ১১ই ডিসেম্বর নিয়োগ কমিটি কর্তৃক মৌখিক পরীক্ষাও গ্রহণ করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর শাখার নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামীলীগ সরকারের সময় দলীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে প্রথমে বিএফআইইউ’র ডেপুটি প্রধান এবং পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের পদ দখলে নিয়েছিলেন। ওই দায়িত্ব পালনকালে তিনি ক্ষমতার করে বিএফআইইউ থেকে প্রায় ৩০ টি সংবেদনশীল নথি সরিয়েছেন মর্মে গুরুতর অভিযোগ উঠলেও সুবিধাভোগী ব্যাবসায়ীদের চাপে তার বিরুদ্ধে কোনে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি।
এছাড়া বিগত স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তা হিসেবে জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারিভাবে ৬ বার বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন সুবিধাদি বাগিয়ে নিয়েছন এবং অর্থ পাচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যাবহার এবং অর্থ পাচারের সংশ্লিষ্টতাসহ হরেক অভিযোগ তদন্ত করে রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা গত ২ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে রফিকুল ইসলামকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়েত্ব দেওয়া বা বহাল রাখার বিপক্ষে মতামত দিয়েছে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শক্ত অবস্থানে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠী ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনকেও নিয়োগ কমিটির কাছে আড়াল করে রফিকুল ইসলামকে তড়িঘড়ি নিয়োগ দেওয়ানের প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আর এতে উদ্বেগ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব সচেতন কর্মকর্তা -কর্মচারীরা। তারা বলছেন, ইতিপূর্বে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামকে বিএফআইইউ’র মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে।