বাতিল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ প্রকল্প
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া, অলাভজনক ও অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) কার্যতালিকা সূত্রে এতথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মৌলভীবাজারের সংরক্ষিত বন লাঠিটিলা বনের ৫ হাজার ৬৩১ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক’ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গত বছরের নভেম্বরে একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি বাতিলের সুপারিশ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে অনুমোদিত প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় পরিকল্পনা কমিশন। তার পরিপ্রেক্ষিতে একনেক সভায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক স্থাপন প্রকল্পটি বাতিলের প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ম একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সভায় আগে অনুমোদিত এই প্রকল্প বাতিলের প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ৫ম একনেক সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মোট ১৫টি প্রকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। এর মধ্যে আটটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য এবং পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্প প্রস্তাব একনেক সভাকে অবহিত করার জন্য উপস্থাপন করা হবে।
সোমবার একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য নতুন ও সংশোধিতসহ উপস্থাপন করা হবে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬০টি ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, চিলমারী এলাকায় নদীবন্দর নির্মাণ এবং আশুগঞ্জ পলাশ সবুজ প্রকল্প, ‘অর্থনৈতিকভাবে জীবনচক্র হারানো রাবার গাছ কর্তন, পুনঃবাগান সৃজন ও রাবার প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়ন’ প্রকল্প, ‘রশিদপুর-১১ নং কূপ (অনুসন্ধান রূপ) খনন’, ‘২ডি সাইসমিক সার্ভে ওভার এক্সপ্লোরেশন ব্লক ৭ অ্যান্ড ৯’ প্রকল্প, ‘ভোলা নর্থ গ্যাস ক্ষেত্রের জন্য ৬০ এমএমএসসিএফরি ক্ষমতাসম্পন্ন প্রসেস প্ল্যান্ট সংগ্রহ ও স্থাপন’ প্রকল্প এবং ‘কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।