জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের বিদ্যমান কোটা কমাতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত কর্মকর্তাদের যৌথ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই সভা শুরু হয়।
বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. আনোয়ার উল্ল্যাহ্।
উপস্থিত আছেন-বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ বি এম আব্দুস সাত্তার ও বাসা মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
সম্মানিত আলোচক হিসেবে রয়েছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ প্রমুখ।
আলোচক হিসেবে আরও রয়েছেন, বিসিএস ১৯৭৩ ব্যাচের মাহমুদ হোসেন আলমগীর, বিয়াম ফাউন্ডেশন পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা ও ১৯৭৯ ব্যাচের এস এম জহরুল ইসলাম, ১৯৮১ ব্যাচের হেলালুজ্জামান, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও ১৯৮২ ব্যাচের এ. বি. এম. আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, প্রত্যাশা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. আব্দুল বারী, অফিসার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এম এ খালেক, ১৯৮৪ ব্যাচের নিয়ামত উল্লাহ ও শেখ আলাউদ্দিন, বিসিএস (প্রশাসন) কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক মোহাম্মদ মসিউর রহমান, সদস্য মো. তৌহিদুর রহমান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ১৯৮৬ ব্যাচের মো. জাকির হোসেন কামাল, মঞ্জুর মোর্শেদ ও শামীম আল মামুন।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা।
বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া হয়।