ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চায় ক্যাব
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: মূল্যস্ফীতি ও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ক্যাব।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৈশ্বিক ও দেশীয় বিভিন্ন পটপরিবর্তনের কারণে ২০২৪ সাল বছরজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সবশেষ ডিসেম্বরে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি এবং তার আগের মাসে ছিল ১৪ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। ক্রমাগত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, খাদ্যবহির্ভূত পণ্য ও সেবার দাম বাড়ছে। ফলে নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারও ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির চাপে জীবন-জীবিকা নির্বাহে প্রায় দিশাহারা।
এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ চলমান থাকলেও তার সুফল জনগণ পাচ্ছে না। সরকার এরই মধ্যে ২৯টি পণ্যের ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলেও ভোক্তা পর্যায়ে তার কোনো প্রতিফলন আসেনি। এই শুল্ক প্রত্যাহারের পুরো সুবিধা বড় বড় করপোরেট গ্রুপ ও আমদানিকারকরা হাতিয়ে নেয়। সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সরকারের অন্য কোনো দফতর খবরও রাখেনি।
মূল্যস্ফীতি ক্রমাগতভাবে ঊর্ধ্বমুখী থাকায় মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। প্রতি মাসে মানুষের ধারদেনা ও খাবারের তালিকা কাটছাঁট করে কোনোরকমে সংসার চালাতে হচ্ছে। যেহেতু আয় বা বেতন বাড়েনি, সে কারণে পরিবারের পুষ্টিসহ অনেক প্রয়োজন কাটছাঁট করতে পারলেও পরিবারের চিকিৎসা খরচ উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। আবার জীবন রক্ষাকারী ওষুধ কিনতে প্রতি মাসেই বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ওষুধের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
এদিকে আগামী মার্চে পবিত্র মাহে রমজান। রমজান উপলক্ষে এখন থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বিশেষ করে তেল, ডাল, চিনি, ছোলা, মাছ, মাংসসহ অনেক পণ্যেরই দাম বাড়ানো ও মজুদ করা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। শীতের ভরা মৌসুমে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কম থাকলেও ক্রমাগতভাবে বাড়ছে চালের দাম। প্রকারভেদে কেজিপ্রতি চালের দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।