দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:  বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিকে রংপুর রাইডার্সের ঠাসা সূচি ছিল, ৯ দিনের এদিক ওদিকে দলটাক খেলেছে ৬ ম্যাচ। এই সব ম্যাচে নাহিদ রানা ছিলেন দলের অংশ। টানা ম্যাচের ধকল তার জন্য বেশি হয়ে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে কানাঘুষা কম হয়নি। 

 

ব্যস্ত সূচির ছাপ নাহিদের বোলিংয়ে পরিষ্কার ছিল। শুরুর দিকে গতির ঝড় তোলা নাহিদ শেষ দিকে যেন চুপসেই গিয়েছিলেন। গতি তুলছিলেন ১৩৫ এর আশেপাশে। দিন যত গিয়েছে, নাহিদের গতি তত পড়ে গেছে।

বাংলাদেশ দলে তাকে খেলানো হয় নিয়ম মেনে, বিশ্রাম দিয়ে। শত হোক, একটা গতি তারকা তো হরহামেশাই পেয়ে যায় না। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে যেন প্রয়োজনের চেয়েও বেশি। তার প্রভাবও যখন স্পষ্ট, তখন সমালোচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তবে সে বিষয়টা উড়িয়ে দিয়েছিলেন দলটির কোচ মিকি আর্থার। এবার নাহিদ রানা নিজেই কথা বললেন কোচের সুরে। জানালেন, বিশ্রাম যদি লাগে, তিনিই চেয়ে নেবেন।

চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামার আগের তিনি বলেন, ‘আসলে একজন ক্রিকেটারের ওয়ার্কলোডের বিষয়টা সে নিজেই জানবে। সে নিজের শরীর নিজে ভালো বুঝবে যে, কখন ভালো আছে। আমার শরীর এখন আমি ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্স টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে সহায়তা করছে। বিসিবি থেকেও খোঁজখবর নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ভালো।’

নাহিদ অবশ্য এখন টানা খেলছেন, তা ইচ্ছার বিরুদ্ধে নয়। রংপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেই আশ্বাস পেয়েছেন, যেন বিশ্রামের প্রয়োজন মনে হলেই তিনি জানান ম্যানেজমেন্টকে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। টানা খেললে চোট পাওয়ারও শঙ্কা থাকে। এখন শরীর ভালো অনুভব করছি। রংপুর রাইডার্সও ভালো সহায়তা করছে। তারা বলেছে, ‘তোমার যখন বিশ্রাম লাগবে আমাদের বলবে।’ তাদের সঙ্গে আমার নিয়মিত কথা চলছে। যখন বিশ্রাম লাগবে, আমি তাদের বলব।’

পেসার হিসেবে চোটের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখতেই হয়, কয় দিন আগে বলেছিলেন তিনি। সেটা তিনি আবারও মনে করিয়ে দিলেন নাহিদ। তার কথা, ‘পেস বোলিংয়ে চোট আসবেই। ক্রিকেট খেলতে গেলে ইনজুরি হবেই। এই জিনিসটা যত দূর সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছি যে, কোন কাজগুলো করলে ইনজুরি থেকে মুক্ত থাকা যায়, ওই জিনিসগুলোই করছি।’