দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ তহবিলের আকার এবং সময়সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা এবং বিনিয়োগের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের কাছে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম। চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকেও দেওয়া হয়েছে।

ডিবিএর সেক্রেটারি মো. দিদারুল গনী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এবং বাজারের তারল্য প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ডিওএস সার্কুলার নং-১ এর মাধ্যমে তফসিলি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগের জন্য একটি বিশেষ তহবিল দেওয়ার নির্দেশনা জারি করে। এই বিশেষ তহবিলের আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। এই তহবিলের মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে শেষ হতে চলেছে।

এই বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য ২০০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টক ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার একটি চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের শেষ থেকে পুঁজিবাজারে দীর্ঘ মন্দা বিরাজ করছে। এর ফলে ইক্যুইটি বাজার মূলধন (প্রায় ৪০ শতাংশ, বা ২ হাজার ৩০০ বিলিয়ন টাকা) উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই মন্দা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (যেমন: ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ড) এবং বাজার মধ্যস্থতাকারী স্টক ব্রোকার এবং অন্য অংশীদারসহ ২০ লাখেরও বেশি বিনিয়োগকারীকে প্রভাবিত করেছে।

আরো বলা হয়, এই তহবিলের আওতায় অনেক স্বনামধন্য তফসিলি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করেছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে তাদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ ৪০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আছে। এই মুহূর্তে এই ধরনের তহবিল বন্ধ করলে পোর্টফোলিও অ্যাকাউন্টে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হবে এবং বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ অবস্থায় বাজার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিশেষ তহবিলের সময়সীমা ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে এর আকার প্রতিটি তফসিলি ব্যাংকের জন্য অতিরিক্ত ১০০ কোটি টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ কোটি টাকা করার জন্য আমরা গভর্নর মহোদয়ের নিকট সুপারিশ করেছি। আশা করি, পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সার্বিক স্বার্থে তিনি আমাদের সুপারিশ বিবেচনা করবেন।