বর্ষার আগে ঢাকার ১৯ খালে প্রবাহ ফেরাতে পারব: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী বর্ষার আগে ঢাকার ১৯টি খালে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে, এমনটি বলেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরে খাল খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণের দুটি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের চারটি খাল খনন করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এ খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
খনন কার্যক্রম উদ্বোধনে আরও ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কীভাবে বর্ষার আগে খালগুলোতে প্রবাহ ফেরাতে পারি, আমরা তিন-চারটি মন্ত্রণালয় বসে কাজ করছি। প্রথমে খনন করব। এরপর ধাপে ধাপে বাকি কাজে এগোবো।
তিনি বলেন, আমরা চাই খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। এই খালে মশা ছাড়া কিছুই নেই। আমরা স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করে দেব। তারাই খাল দখল ও দূষণ রোধে কাজ করবে। খালের পাড়ে সবুজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। একইসঙ্গে খালে মাছ যাতে বাঁচে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি, চলতি বর্ষার আগে ১৯টি খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব। আমরা এই ১৯টি খাল নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করার পরিকল্পনা করছি।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, খালের সমস্যা দীর্ঘদিনের, যার সমাধান মুহূর্তেই করা সম্ভব নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। তার মধ্যে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি অন্যতম।
তিনি বলেন, আমরা ১৯টি খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ব্লু নেটওয়ার্ক একটি চ্যানেল তৈরি করে পার্কের মতো তৈরি করা হবে। যাতে মানুষ খাল দেখে দূরে সরে না যায়, কাছে আসতে বাধ্য হয়।
তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রকল্পে না গিয়ে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কাজটি আমরা শুরু করে দিয়ে যেতে চাই, দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ও প্রকল্প হাতে নিলে পরবর্তী সরকার এসে নেবে।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ১৬ বছরে কীভাবে লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে, তারই একটি নিদর্শন খাল দখল এবং তাতে দূষণ। এরইমধ্যে টোটাইল বিল দখলমুক্ত করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে কাজ হচ্ছে।