দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে তিন তলা ভবনটির সামনের অংশ পুরোটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখনও চলছে ভাঙার কার্যক্রম। ভবনটি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি। পরবর্তীতে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তর করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে এক্সকেভেটর ও ক্রেন দিয়ে বাড়িটি ভাঙা শুরু করে বিক্ষুব্ধ জনতা। ভোরের দিকে বাড়ে তাদের কাজের গতি। এ সময়, ভবনের অনেক অংশে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

রাত থেকে যেসব বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা অবস্থান করছিলেন; তারা অনেকে এখন নেই। এখনও ৩২ নম্বরের সামনে যারা আছেন, তারা বলছেন, দেশে স্বৈরাচারের কোনো চিহ্ন দেখতে চায় না দেশবাসী। এর মাধ্যমে, পরবর্তী শাসকরা শিক্ষা নেবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

বিক্ষুব্ধরা জানান, বাড়ি ভাঙাটা শেখ হাসিনার প্রতি দেশবাসীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। উপস্থিত লোকজনকে উল্লাস করতেও দেখা যাচ্ছে সেখানে। শত শত মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক’ স্লোগানও দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, এক্সকেভেটর দিয়ে বাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে শাবল ও হাতুড়ি দিয়ে অনেকেই ভবনটি ভাঙচুর করছেন। ভবনের সামনের অংশের পুরোটাই গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ একজন বলেন, আমাদের এই ক্ষোভ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদেরকে বলে দিতে চাই দেশের জনগণ আরও ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেবে না। তারা যতই লম্ফঝম্ফ করুক, তাদেরকে প্রতিহত করতে ছাত্রসমাজ রাস্তায় রয়েছে।

আরেকজন বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের প্রতীক ধ্বংস করছি। এই বাসভবন থেকেই বাকশাল গঠনের ঘোষণা এসেছিল। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে আমরা বার্তা দিতে চাই, যারাই ভবিষ্যতে ফ্যাসিবাদ হয়ে উঠবে তাদের পরিণতিও একই হবে।