পুঁজিবাজারের ছয় প্রতিবেদন জমা, দোষীরা মোড়কবন্দি
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2025/02/11/001-2502111544.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি' ১২টি বিষয়ের মধ্যে ছয়টির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী কারসাজিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে সিএসইসি। তবে প্রতিবেদনের মোড়কেই বন্দি রাখা হয়েছে দোষী ব্যক্তিদের নাম-পরিচয়। অবশ্য সবার জন্য এই প্রতিবেদন উন্মুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির হস্তান্তর করা প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে এখন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে নাম আসা দায়ীদের বিষয়ে কোনো কিছু প্রকাশ করা না হলেওসংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেছেন, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জকমিশন (বিএসইসি) গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিএরইমধ্যে ছয়টি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে।
যেসব বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে, সেগুলো হলো:
১. বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইসতিসনা ইস্যু-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত।
২. আইএফআইসি গ্র্যান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো কুপন বন্ড ইস্যু-সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৩. বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড সংক্রান্ত আইপিও অনুমোদন ও ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৪. আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, ব্লক মার্কেটে শেয়ার অধিগ্রহণসংক্রান্ত কারসাজি এবং ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আরোপিত শর্তসমূহ পরিপালনের হালনাগাদ তথ্যাদিসহ যাবতীয় বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৫. ফরচুন সুজ লিমিটেড-সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ সংক্রান্ত অনিয়ম এবং কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৬. কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড-সংক্রান্ত (পূর্বে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড) পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর কমিশনের ৯১৮তম জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স-১৯৬৯ এর সেকশন এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন-১৯৯৩ এর ধারা ১৭ক এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়।
পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে অনুসন্ধান ও তদন্ত করার জন্য গঠন করা কমিটি মোট ১২টি বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনা করছে।