দ্য রিপোর্ট ডেস্ক:  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বলপ্রয়োগের হুমকিকে ‘বেপরোয়া’ এবং ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে ইরান। সেই সঙ্গে ‘যেকোনো আগ্রাসনের পরিণতি ভয়াবহ হবে’ বলেও সতর্ক করেছে দেশটি।  খবর রয়টার্সের। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে লেখা এক চিঠিতে, ইরানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি নিউ ইয়র্ক পোস্ট এবং ফক্স নিউজকে দেওয়া ট্রাম্পের মন্তব্যের উল্লেখ করেছেন। ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইরানে বোমা হামলা চালানোর পরিবর্তে দেশটি যেন পারমানিবক অস্ত্র না পায় সেরকম চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা বলেছেন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘এই বেপরোয়া এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন করে। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সতর্ক করে দিয়েছে যে যেকোনো আগ্রাসনের পরিণতি ভয়াবহ হবে, যার দায় সম্পূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের। ’

এতে আরও লেখা হয়েছে, ‘যেকোনো শত্রুতামূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরান দৃঢ়ভাবে তার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবে। ’

গত সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানের উপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ ক্যাম্পেইন পুনর্বহাল করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে তেহরানকে পারমানবিক অস্ত্র পাওয়া থেকে বিরত রাখার জন্য তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার প্রচেষ্টা। তিনি আরও জানান, তিনি একটি চুক্তির জন্য উন্মুক্ত এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক।

মাসুদ পেজেশকিয়ান সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অন্যদিকে ইরাভানি তার চিঠিতে লিখেছেন যে মার্কিন নীতি ‘বেআইনি, একতরফা বলপ্রয়োগমূলক ব্যবস্থা জোরদার করে এবং ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতা বৃদ্ধি করে। ’