দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ইসির হাতে এনআইডি না থাকলে কমিশনের কাজ বিঘ্নিত হবে। কমিশনের বক্তব্য লিখিতভাবে সরকারকে জানানো হবে।

আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ দফতরের সামনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে যাবে এমন তথ্য জানা নেই। সরকারের চিন্তা সব সেবা এক জায়গা থেকে দেয়া যায় কি না। কিন্তু আমাদের প্রতিনিধি সরকারকে জানিয়ে এসেছে আমাদের মতামত। সরকার আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নেবে না বলেই প্রত্যাশা করি। লিখিতভাবে ইসির মতামত জানানো হবে। এনআইডি কার্যক্রম নিয়ে গেলে সমস্যা হবে, তা আমরা জানাবো। এখন ভোটার নিবন্ধন চলছে, সামনে জাতীয় নির্বাচন আছে। এর মধ্যে তড়িঘড়ি করে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত নেবে বলে মনে হয় না। এমন আলোচনায় ইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। এনআইডি কার্যক্রম ইসিতে থাকা উচিত।

উল্লেখ্য, এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন করে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর তা বাতিল চেয়ে চিঠি দেয় ইসি সচিবালয়। পরবর্তীতে আইনটি বাতিল করা হয়।

কিন্তু এনআইডি সেবা সিভিল রেজিস্ট্রেশন নামে আলাদা কমিশনে ন্যস্ত করতে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অধ্যাদেশ’, ২০২৫-এর খসড়া সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা, পর্যালোচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়ার নির্দেশনা দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রণয়ন সময়োপযোগী। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের আওতাধীন না রেখে সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালনা করা সমীচীন।

উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশনার পর ৩ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া’ পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা করে। যদিও এ নিয়ে সিইসির কাছে মৌখিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছেন কমিশনের কর্মকর্তারা।