বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবিতে ফের বিক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ফের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন বিনিয়োগকারীরা। তারা বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএসইসি ভবনের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করা হয়।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে বিএসইসি ভবনের সামনে বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিসিএমআইএর সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম মানিক বলেছেন, “বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি। বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে দাবি নিয়ে লড়ছেন, আমরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।”
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, রাশেদ মাকসুদ অযোগ্য। শেয়ারবাজার নিয়ে তার জ্ঞান নাই। তার পক্ষে শেয়ারবাজার পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই, শেয়ারবাজারের স্বার্থে তার দ্রুত পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন সেখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এর আগে বুধবার এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেয় বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বিএসইসির চেয়ারম্যান বা কমিশনার কেউ কার্যালয়ে আসেননি। বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা যথাসময়ে অফিসে এসেছেন। তবে, তারা কোনো কাজ করছেন না। এমনকি কোনো চিঠি-পত্রও আদান-প্রদান করা হচ্ছে না। বিএসইসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ঘোষণা অনুযায়ী তারা সবাই কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা অফিসে আলোচনা, ঘোরাঘুরি, গল্প-আড্ডায় সময় পার করছেন। বুধবার লাঠিচার্জে যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা এবং শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহাবুবুল আলম রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেছেন, “আমাদের দাবি অনুযায়ী বুধবারের মধ্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন পদত্যাগ না করায় বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের কর্মবিরতি চলবে।”