দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সাবেক ব্যাংকার মার্ক কার্নি কানাডার ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন।

রোববার প্রকাশিত সরকারি ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানায়।

কার্নি এমন এক সময়ে কানাডার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, যখন দেশটি দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এবং শিগগিরই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

৫৯ বছর বয়সী কার্নি দলেরমোট ভোটের ৮৬ শতাংশ পেয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডকে পরাজিত করেন। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রায় ১ লাখ ৫২ হাজার লিবারেল পার্টির সদস্য ভোট দেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা দেন, তিনি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এ কারণেই জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়া ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিকে দ্রুত নতুন নেতা নির্বাচনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হয়।

প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো লিবারেলদের উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে বলেন, ভুল করবেন না, এটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণকারী মুহূর্ত। গণতন্ত্র নিশ্চিত কিছু নয়, স্বাধীনতাও নিশ্চিত নয়। এমনকি কানাডার অস্তিত্বও নিশ্চিত নয়।

তিনি বলেন,প্রতিবেশী দেশ থেকে যখন কানাডার সামনে অস্তিত্বের সংকট ও অর্থনৈতিক সংকট আসছে, তখনজনগণ দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা আসলে কী দিয়ে গড়া।

ট্রুডো পরে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে আমি পদত্যাগ করছি। শুরুর সময়ে যেমন প্রত্যাশা আর কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করতাম, এখনো তেমনটাই করি।

তিনি আরও লেখেন, লিবারেল পার্টি ও দেশের জন্য তার প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ কানাডার লাখ লাখ নাগরিক প্রতিদিন প্রমাণ করেন যে ভালো কিছু সবসময় সম্ভব।

অন্যদিকে রাজনীতিতে নবীন মার্ক কার্নির দাবি, তার দলের জনপ্রিয়তা ফেরাতে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালিয়ে যেতে তিনিই সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি।