আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ১৭ ঘণ্টা পর এক ইউনিট চালু

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় শুক্রবার রাতে।। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় একটি ইউনিট থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য তুলে ধরেছেপাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি।
পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “ঘাটতি মেটাতে আজ দিনের বেলায় অভ্যন্তরীণ তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাড়তি উৎপাদন করা হয়েছে। অনুরোধ করা হয়েছে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর। তবে সন্ধ্যায় আদানির প্রথম ইউনিট উৎপাদনে ফেরারঘটনা পিডিবির জন্য স্বস্তিদায়ক।”
আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে পিডিবি।
আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর পর ২০২৪ সালের জুনের শেষ ও জুলাইয়ের শুরুর কয়েকটি দিনে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়। পুরো কেন্দ্র তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবার বিদ্যুৎ আসা শুরু করে।
প্রায় ৮৫ কোটি ডলারের বকেয়া নিষ্পত্তির সুরাহার জন্য গত বছর নভেম্বরে চাপ দেয় আদানি পাওয়ার। সেই সংকট কাটিয়ে উঠে বিদ্যুতের সরবরাহ প্রাপ্তি স্বাভাবিক রাখে বাংলাদেশ সরকার। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কেন্দ্রটি থেকে বাংলাদেশ ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট হারে বিদ্যুৎতের সরবরাহ পেয়ে থাকে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই চাহিদা ও অর্থপ্রাপ্তি নিশ্চিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে নজর দেওয়া শুরু করেছিল আদানি। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ায় বিদ্যুৎ আসা স্বাভাবিক থাকে।
আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। তার ওপর দফায় দফায় আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে চিঠি চালাচালি বিষয়টি সব সময় আলোচনার মধ্যেই রাখে।
ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আনা কয়লার দাম ধরে আদানির প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১০-১২ টাকায় কিনতে হয় বাংলাদেশকে।